৩১ জুলাই ২০২৫ - ০৯:৩১
Source: ABNA
বিশ্বব্যাপী হ্রাস সত্ত্বেও আফ্রিকা ও পশ্চিম এশিয়ায় ক্ষুধা বৃদ্ধি

২০২৪ সালে বিশ্বব্যাপী ক্ষুধার হার হ্রাস পেলেও, জাতিসংঘ সতর্ক করেছে যে আফ্রিকার পরিস্থিতি আরও খারাপ হয়েছে এবং এই মহাদেশের এক-পঞ্চমাংশের বেশি জনসংখ্যা ক্ষুধার মুখোমুখি।

আহলে বাইত (আ.) আন্তর্জাতিক সংবাদ সংস্থা (আবনা) এর প্রতিবেদন অনুযায়ী, জাতিসংঘের সর্বশেষ "বিশ্ব খাদ্য নিরাপত্তা ও পুষ্টি পরিস্থিতি ২০২৫" শীর্ষক প্রতিবেদনে জোর দেওয়া হয়েছে যে আফ্রিকা মহাদেশে এখনও বিশ্বের সবচেয়ে বেশি ক্ষুধার্ত মানুষ বাস করে।

জাতিসংঘের পাঁচটি বিশেষায়িত সংস্থা দ্বারা প্রস্তুতকৃত এই প্রতিবেদনে বলা হয়েছে যে, ২০২৪ সালে আফ্রিকার ২০ শতাংশেরও বেশি জনসংখ্যা—অর্থাৎ প্রায় ৩০৭ মিলিয়ন মানুষ—ক্ষুধার সাথে লড়াই করেছে।

প্রকাশিত তথ্য অনুযায়ী, এই সংখ্যাটি ২০২৪ সালে বিশ্বের মোট ক্ষুধার্ত জনসংখ্যার প্রায় অর্ধেকের সমান। সব মিলিয়ে, এই বছর বিশ্বজুড়ে ৬৭৩ মিলিয়ন মানুষ ক্ষুধার্ত ছিল।

আফ্রিকার এই সংকটময় পরিস্থিতি সত্ত্বেও, জাতিসংঘের প্রতিবেদনে দেখা গেছে যে ২০২৪ সালে বিশ্বব্যাপী ক্ষুধার হার সামান্য কমে ৮.২ শতাংশে পৌঁছেছে; যেখানে ২০২৩ সালে এই হার ছিল প্রায় ৮.৫ শতাংশ এবং ২০২২ সালে ছিল প্রায় ৮.৭ শতাংশ। গড়ে, এই হ্রাস ২০২৩ সালের তুলনায় ১৫ মিলিয়ন এবং ২০২২ সালের তুলনায় ২২ মিলিয়ন মানুষের হ্রাসের সমান।

বিপরীতে, পশ্চিম এশিয়া এবং আফ্রিকার বেশিরভাগ অঞ্চলে ক্ষুধার বৃদ্ধি অব্যাহত রয়েছে; এমনভাবে যে পশ্চিম এশিয়ায় ক্ষুধার হার ১২.৭ শতাংশে (৩৯ মিলিয়ন মানুষের বেশি) পৌঁছেছে।

প্রতিবেদনে আরও বলা হয়েছে যে, বিশ্বব্যাপী এই আপেক্ষিক হ্রাস সত্ত্বেও, ক্ষুধার মাত্রা এখনও করোনা মহামারীর পূর্ববর্তী স্তরের চেয়ে বেশি। বিশেষজ্ঞরা খাদ্য সুরক্ষার উন্নতির ধীর গতির কারণ হিসেবে সাম্প্রতিক বছরগুলোতে খাদ্য মূল্যের মুদ্রাস্ফীতির তীব্র বৃদ্ধিকে উল্লেখ করেছেন।

এই প্রতিবেদনের পূর্বাভাস অনুযায়ী, ২০৩০ সালের মধ্যে বিশ্বে প্রায় ৫১২ মিলিয়ন মানুষ দীর্ঘস্থায়ী অপুষ্টিতে ভুগবে, যার প্রায় ৬০ শতাংশ মানুষ কেবল আফ্রিকাতেই বাস করবে। এই পরিসংখ্যানটি জাতিসংঘের দ্বিতীয় টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্য (ক্ষুধা দূরীকরণ) অর্জনের পথে একটি বড় চ্যালেঞ্জ হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে।

Your Comment

You are replying to: .
captcha